রবিবার, ১০ মে, ২০১৫

আবারো প্রকাশ করা হল ভিন্ন ধারায় " হায়াতুন নবী সাঃ " বহস এর ভিডিও ।

আচ্ছালামুআলাইকুম ওয়াঃ
আপনারা কেমন আছেন ?
আপনারা ভালো থাকেন এই দোয়ায় সর্বদা আল্লাহ্‌ তাঃ কাছে করি ।

আগের থেকেও পরিষ্কার এবং টিকা সংযুক্ত ভিডিও ।


গত ৪ই মে রোজ সোমবার সকাল ১০ টায় আহলে হাদিস VS আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর
মাঝে একটি বহস অনুষ্ঠান হয় ।
স্থানঃ- আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম সাহেবের নিজের মাদরাসা
কাজিবাড়ী, উত্তরা, ঢাকা।


এখানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেনঃ-

  •  লুৎফুর রহমান ফরায়েজী। পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
  •  মাওলানা আবু হাসসান রাইয়্যান। প্রিন্সিপাল-রায় হানুল উলুম মাদরাসা মিরপুর ঢাকা।
  • মাওলানা তাহমীদুল মাওলা-মুহাদ্দিস জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া ঢাকা।  

এবং আহলে হাদিসদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেনঃ-
  • শায়েখ মুরাদ বিন আমজাদ।
  • শায়েখ মুখলেসুর রহমান মাদানী।
  • পিচ টিভির আলোচক শায়েখ আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম।

 ভিডিও করেনঃ-
  • জনাব আব্দুস সবুর খান।

এই অনুষ্ঠানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বিজয়ী হয় ।
সেই বহস অনুষ্ঠান সরাসরি অনলাইনে ও সম্প্রচার করা হয় ।
আমরা সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও ইতিমধ্যেই আপলোড করেছিলাম ।
আপনারা অনেকেই হয়ত সেটা ডাউনলোড করেছেন । 
কিন্তু সেটা ছিল অস্পষ্ট । আজকের ভিডিও টি স্পষ্ট এবং টিকা যংযুক্ত করা হয়েছে এই ভিডিওর মাঝে ।

বিডি আপলোড থেকে ডাউনলোড করার নিয়ম জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫

বিদআত পর্বঃ- ২ । বিদআতের প্রকারভেদ ।

আচ্ছালামুআলাইকুম ওয়াঃ
সুপ্রিয় নাইয়রি। আপনারা সকলেই কেমন আছেন ?
আপনারা সর্বদা ভালো থাকেন এটাই আমরা চাই এবং মনে প্রানে দোয়া ও করি ।
কারন আপনাদের জন্যই আমাদের পথ চলা ।

ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমানগণ নিঃশর্তভাবে কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করে চলতেন।
কিন্তু এর কয়েক শতাব্দীর পর থেকেই শুরু হয় ফিরকা বাজি ।
এদের মদ্ধ্যে অন্যতম বর্তমানে সমাজে যারা ব্রেল্ভি, সুন্নি নামে পরিচিত ।
গতবারে আমরা " সুন্নাত কাকে বলে ? বিদআত কাকে বলে ? এবং বিদআতের হুকুম কি ? "
এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম ।
এবং এই বিষয়টিকে একটি পর্ব আকারে দেয়া হয়েছে ।
আজ সেই পর্বের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের কাছে পেশ করতে যাচ্ছি ।

বিদআতের প্রকার ভেদ ।

এই আর্টিকেলটি কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ।

মুসলিম শরিফের ভাষ্যকার ইমাম নববী রহঃ লিখেছেনঃ-
قال العلماء: البدعة خمسة. واجبة ومندوبة ومحرمة ومكروهة ومباحة فمن الواجبة: نظم أدلة المتكلمين للرد علي الملاحدة والمبتدعين وشبه ذلك. ومن المندوبة: تصنيف كتب العلم وبنااء المدارس والربط و غير ذلك. ومن لمباح: التبسط في ألوان الأطعمة وغير ذلك والحرام والمكروه ظاهران

বিদআত পাঁচ প্রকারঃ-
(১) ওয়াজিব । যথাঃ- নাস্তিক ধর্মদ্রোহী ও বিদআতি বাতিল পন্থিদের বিরুদ্ধে ইসলামি দলিল প্রমান ও তাদের আপত্তির খন্ডন সম্বলিত বই পুস্তকের মাধ্যমে প্রচার করা ।
(২) মুস্তাহাব । যথাঃ- ধর্মীয় বই পুস্তক লেখা, মাদ্রাসা ও খনকা প্রতিষ্ঠা এবং মুসাফির খানা নির্মাণ করা । ইত্যাদি ।
(৩) মুবাহ । যথাঃ- খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদির মধ্যে উত্তম থেকে অতি উত্তম খানার আয়োজন করা ।
(৪) হারাম । (৫) মাকরুহ । এ দুটি অত্যন্ত ।
দেখুনঃ- মুসলিম শরিফ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ২৮৫

এমনি ভাবে আল-জান্নাহ কিতাবে আছেঃ-
ان البدعة علي قسمين بدعة لغوية وبدعة شرعية فالاول هوالمحدث مطلقا عادة كانت او عيبادة الاخ

বিদআত দু-প্রকার ।
একঃ- আভিধানিক বিদআত । দুইঃ- শরয়ি বিদআত ।
আভিধানিক বিদআত বলা হয়ঃ- যাহা প্রত্যেক নব আবিস্কার বিদআত এর জন্য প্রযোজ্য চাই তাহা ইবাদতে হক বা অভ্যাসে হোক । এটিই পাঁচ ভাগে বিভক্ত ।
তথাঃ- ওয়াজিব, মুস্তাহাব, মুবাহ, হারাম, মাকরুহ ।
শরয়ি বিদআত বলা হয়ঃ- শরীয়তের উপর ইবাদত-বন্দেগি কিছু বাড়ানো ।
(তিন যূগ অতিক্রান্ত হবার পর) শরীয়তের অধিকারি তথা রাসূল সাঃ এর কোন রুপ অনুমতি ছাড়া, অর্থাৎ না মৌখিক না কর্মের মাধ্যমে, না স্পষ্ট ভাবে, না ইশারা ইঙ্গিতে অনুমতি দেয়া হয়েছে, এটিই সেই বিদআত যাকে  গোমরাহি এবং ভ্রষ্টতা আখ্যা দেয়া হয়েছে ।
দেখুনঃ- আল-জান্নাহ, পৃষ্ঠা ১৬১ । রাহে সুন্নাত পৃষ্ঠা ৯৯ ।

আজ এই পর্যন্তই । পরবর্তী পর্ব নিয়ে আবার হাজির হয়ে যাব আপনাদের কাছে ।
সেই পর্যন্ত আমি এবং আপনারা ভালো থাকবনে এই দোয়াই কামনা করি ।

লিখেছেনঃ- আশরাফুল আলম রনি
এডমিনঃ- asunjani.Com
লেখকঃ- টেক্টিউন্স, নাইয়রি এবং আসুন জানি ডট কম
যোগাযোগঃ- ashrafulalomroni@gmail.Com

শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

বিদআত পর্বঃ- ১ । সুন্নাত কাকে বলে ? বিদআত কাকে বলে ? বিদআতের হুকুম কি ?

সমাজে প্রচলিত বিদাআত নিয়ে আজকে থেকেই লিখা শুরু করে দিলাম ।

আমাদের সমাজে অনেক কিছুই প্রচলন আছে যা ইসলামিক দৃষ্টি কোন থেকে বিদাআত ।
আমি সেই সমস্ত বিদআত নিয়েই ইনশাআল্লাহ্‌ আস্তে আস্তে পোস্ট লিখে যাব ।
আজকে আমাদের সর্ব প্রথম বিদাআত সম্পর্কে বেসিক কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে যে,

একঃ- সুন্নাত কাকে বলে ?
দুইঃ- শরীয়তের ভাষায় বিদাআত কাকে বলে ?
তিনঃ- বিদাআতি ব্যাক্তির শাস্তি কি ?
পোস্টটি কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ
সুন্নাত কাকে বলে ?
______________

মুসলিম বিশ্বের খ্যাতনামা আলেম শায়খ মোস্তফা সাবায়ী (রহঃ) বলেন,
আরবি অভিধানে সুন্নাত অর্থ কর্ম পন্থা বা কর্ম পদ্ধতি ।
চাই তা ভালো হোক বা মন্দ ।
পক্ষান্তরে পরিভাষায় সুন্নাতের একাধিক ব্যাক্ষা রইয়েছে ।

হাদিস শাস্ত্রবিদ্গনের পরিভাষায় হুজুর সাঃ এর কথা, কর্ম ও সম্মতি এবং তার শারিরিক বৈশিষ্ট্য, স্বভাব ও চাল চরিত্রকে সুন্নাত বলা হয় ।

উসুল শাস্ত্রবিদ্গনের মতে সুন্নাত বলা হয় প্রত্যকে কথা, কর্ম ও সম্মতিকে, যা হুজুর সাঃ এর সাথে সম্পৃক্ত এবং যার থেকে শরীয়তের কোন না কোন হুকুম প্রমানিত হয় ।

মুহাদ্দিসগনের মতে এবং অনেক সময় ফিকাহ শাস্ত্রবিদ্গনের মতে সুন্নাত বলা হয় ঐ সব কর্মকে যা শরিয়তের কোন দলিল কিংবা উসূলে শরীয়তের কোন আসল দ্বারা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত বলে প্রমানিত ।
দেখুনঃ- আচ্ছুন্নাতু ওয়া মাকানাতুহা, খন্ড-১, পৃষ্ঠা ৯০-৯৩ ।

শরীয়তের ভাষায় বিদাআত কাকে বলে ?
_______________________________
ইমাম শাতেবী রহঃ শরীয়তের দৃষ্টিতে বিদআতের ব্যাখ্যা দেন এভাবেঃ-
“দ্বীনের মধ্যে এমন নব উদ্ভাবিত পন্থাকে বিদআত বলা হয়, যা দৃশ্যতঃ শরীয়তের কাজ বলে মনে হয় এবং আল্লাহ্‌র অধিক ইবাদতের নিয়তে করা হয়” ।
দেখুনঃ- আল-ইতিছাম, খন্ড-১, পৃষ্ঠা ৩৭ ।

বুখারি শরিফের ভাষ্যকর হাফেজুল হাদিস আল্লামা ইবনে হাজার আছকালানী রহঃ বলেনঃ- বিদআত মূলত এমন নব আবিস্কার বস্তু যার কোন দৃষ্টান্ত পূর্ববর্তী যুগে নেই । আর শরীয়তের পরিভাষায় সুন্নতের পরিপন্থী কাজকে বিদআত বলা হয় ।
দেখুনঃ- ফতহুল বারী খন্ড-৪, পৃষ্ঠা ২১৯

বিদাআত এর হুকুম কি ?
_______________________

আল্লাহ্‌ তাঃ বলেন

قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ غَيْرَ الْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعُوا أَهْوَاءَ قَوْمٍ قَدْ ضَلُّوا مِنْ قَبْلُ وَأَضَلُّوا كَثِيرًا وَضَلُّوا عَنْ سَوَاءِ السَّبِيلِ


বলুনঃ হে আহলে কিতাবগন, তোমরা স্বীয় ধর্মে অন্যায় বাড়াবাড়ি করো না এবং এতে ঐ সম্প্রদায়ের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, যারা পূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে। তারা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে।
দেখুনঃ- সূরা মায়েদা, আয়াত ৭৭ ।

عن حذيفة قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم لا يقبل الله لصاحب بدعت صوما ولا صلاة ولا صدقة ولا حجا ولا عمرة ولا جهادا ولا صرفا ولا عدلا  يخرج من الاسلام كما تخرج ِلشعرة من العجين


আল্লাহ্‌ তাঃ কবুল করেন না কোন বিদআতির রোজা, নামা, জাকাত, হজ্জ, ওমরা, জিহাদ, সমাজ সেবা, দান । তারা এমন ভাবে দ্বীন থেকে বের হয়ে যায় যেমন খামির থেকে চুলকে টেনে বের করা হয় । অর্থাৎ এমন ভাবে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় যে, সে টেরিই পায় না ।
দেখুনঃ- ইবনে মাজাহ, পৃষ্ট ৬।

عن معاذ بن جبل قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم من مشي الي صاحب بدعت ليوقره فقد اعان علي هدم الاسلام


যে ব্যাক্তি কোন বিদআতির সম্মানার্থে তার নিকটে যায় ঐ ব্যাক্তি যেন ইসলামকে ধ্বংস করতে সাহায্য করল ।
দেখুনঃ- আল-বালাগ, পৃষ্ঠা ৫, আল ই’ তিছাম, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৮৪

আজকে এই পর্যন্তই । একবার ভালো করে সব কিছু পড়ে নিন । এবং মাথায় সাজিয়ে রাখুন । আগামিতে কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ্‌ ।

লিখেছেনঃ- আশরাফুল আলোম
এডমিনঃ- asunjani.Com
লেখক:-  টেকটিউনস, নাইয়রি, আসুন জানি ডট কম ।
Mail:- ashrafulalomroni@gmail.com

বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৫

TSC ইউনিভার্সিটির পহেলা বৈশাখের সেই কাহিনি ............... ফুল গাছেই সুন্দর হাতে নয়, নারী ঘড়েই সুন্দর কিন্তু বাহিরে নয়

`এই লেখাটি কপি-পেস্ট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । তবে লেখকের নাম সহ পোস্টে কোন প্রকার এডিট ছাড়া এ টু যেট কপি করার অনুমতি আছে ।

TSC ইউনিভার্সিটির পহেলা বৈশাখের সেই কাহিনি ...............
ফুল গাছেই সুন্দর হাতে নয়, নারী ঘড়েই সুন্দর কিন্তু বাহিরে নয় ।

আর বললাম না । কারন স্বাধীন রাষ্ট্রে কি মানুষ স্বাধীন ভাবে একটু ঘুরতে পারবে না ?
TSC ইউনিভার্সিটির পহেলা বৈশাখে যেই কাহিনি হয়েছে তা সত্যিই লাজ্জাজনক ।
তবে এর জন্য আমি সর্ব প্রথম নারীদেরকেই দায়ি করব ।

আমাদের দেশে প্রচলিত যেই মেলা নামে কিছু চালু আছে তা সুষ্ঠ নয় ।
আজকাল মেলাতে কোন ভদ্র পরিবারের সদস্যরা যায় না ।
এটা আমরা খুব ভালো করেই জানি ।
প্রত্যকে বছর এই দিনটিতে এরকম ঘটনা শোনা যায় ।
এরপরেও কেন নারিদের টনক নড়েনা ?
নারি হল স্বর্ণ, হীড়ার মত দামি । এটাকে যত্ন করে রাখতে হয় ।


আমি নারিদের কাছে প্রশ্ন করব যে, আপনার গায়ে ভর্তি দামি দামি অলংকার ।
এই ধরুনঃ- হীড়া, স্বর্ণ, রুপা, মানিক, মুক্তা ইত্যাদি ।

আপনি কোথাও যাবেন । আপনার জন্য দুটি রাস্তা । একটি রাস্তায় যদি আপনি
যান তাহলে নির্ঘাত ডাকাতের পাল্লায় পড়বেন । যদি অন্য রাস্তায় যান তাহলে
আপনি সুষ্ঠ ভাবে আপনার গনতব্যে পোঁছে যাবেন ।
এখন আপনি যেনে শুনে যেই পথে ডাকাত আছে ওই পথে যাবেন নাকি যেই পথ নিরাপদ সেই পথে যাবেন ?
অবশ্যই আপনার যদি সামান্য জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি বলবেন আমি যেই পথ নিরাপদ সেই পথেই যাব ।
এখন যদি আপনি দামি অলংকার ভর্তি শরীর নিয়ে ডাকাতের পথে চলেন আর ডাকাত আপনাকে হামলা করে
তাহলে সাধারন মানূষ কাকে দোষারপ করবে ? ডাকাত কে নাকি আপনাকে ?
অবশ্যই আপনাকে ।

ঠিক তেমনি ভাবে নারিদের শরীর স্বর্ণ, অলঙ্কার থেকেও দামি । এটাকে যত্ন করে রাখতে হয় ।
আপনি যানেন প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটে আর এর প্রত্যকেটাই নারী ঘটিত ।
এরপরেও কেন আপনি সেখানে যান । গেলেনিই যখন বিপদ আসল দোষ কারন ?
আপনার না আমার ?
অবশ্যই আপনার ।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে নারীর কি স্বাধীনতা নেই ?
অবশ্যই আছে কিন্তু নির্দিষ্ট গন্ডির ভিতরে । নির্দিষ্ট নিয়ম পদ্ধতি মেনে ।

আপনি শুটকি খুলে বাহিরে রাখবেন আর বিড়ালকে বলবেন খাবিনা খাবিনা এটা যেমন বকামি
ঠিক তেমনি ভাবে আপনি অর্ধ নগ্ন হয়ে রাস্তায় চলা ফেরা করবেন আর বলবেন ইফটিজিং প্রতিরোধ করতে হবে
এটা তার থেকেও বেশী বোকামি ।

আপনাকে চলতে হবে ইসলামিক নিয়ম পদ্ধতি অনুসরণ করে । পর্দা করে ।
ইসলামের পর্দার যেই বিধান আছে ঠিক সেই নিয়মে ।

আপনি একটি হিড়ার টুকরা রাস্তায় ফেলে রাখলেন আর তা কোন পথিক রাস্তা থেকে নিয়ে গেল ।
এই জন্য দোষ কার ? আপনার না ওই পথিকের ?

আপনার যদি সামান্য জ্ঞান থাকে আপনি যদি জ্ঞান শূন্য না হন তাহলে বলবেন অবশ্যই দোষ আপনার ।
কারন আপনি হিরার মত দামি জিনিস কেন রাস্তায় উন্মুক্ত রাখলেন ?
এটা রাস্তায় উন্মুক্ত রাখার বস্তু নয় । এটাকে ঘরের ভিতরে সিন্ধুকে রাখার বস্তু ।

ঠিক তেমনি ভাবে আপনি রাস্তায় বেপরোয়া ভাবে চলবেন আর সমাজের দুষ্টু লোকেরা আপনার সাথে খারাপ আচরণ করবে
এতে দোষ কার ? অবশ্যই ১০০% এর সম্পূর্ণ দোষটাই আপনার ।

আপনি চিনি খুলে রাখবেন আর সেখানে পিঁপড়া আসবে না এটা যেমন অসম্ভব ।
ঠিক তেমনি ভাবে আপনি রাস্তায় অবাধ চলা ফেরা করবেন আর আপনাকে দুষ্টু পুরুষরা লোলুপে দৃষ্টিতে তাকাবে না,
আপনার সাথে অনৈতিক কাজ করবে না এটাও তেমনি অসম্ভব ।
নারী গোপনিয় । নারী ঘরের অহংকার ।

তাই এক মাত্র ইসলামি আছে যা এই সমস্ত কারবার থেকে চির মুক্তি দিতে পারে ।
নারিকে দিবে তার আসল সম্মান ।
ইসলাম ছাড়া বাকি সব আপনাকে শুধু হেয় করতে পারবে, কিন্তু সম্মান দিতে পারবে না ।
কোথায় আজ আঈন ?  সমাধান দিতে পেরেছে  আপনাকে?
কোথায় সেই সমান অধিকারের আন্দলোন কর্মীরা ?
এরা সবাই ওই অসভ্য জাতিদের দালাল, কর্মচারী ।

আপনি কার উপরে ভরসা করে আছেন ? যারা আপনাকে বিপদে ফেলে দিয়ে দূরে পালিয়ে যায় তার দিকে ?
যারা বিপদের সময় আপনার পাশে ছিল না তাদের দিকে ?
যেই জনগন শুধু লাইভ টেলিকাস্ট উপভোগ করছিল তাদের দিকে ?
যারা ঘটনা ঘটে যাবার পর আপনাকে সান্তনা দিতে  একদিনের এক ঘণ্টা মানববন্ধন করে হারিয়ে গেছে তাদের দিকে ?
আপনি আপনার জীবনে যদি কোন বড় ভূল করে থাকেন তাহলে এই ভুলটাই করছেন ।

আসুন আমরা ইসলামের ছায়া তলে একত্রিত হই ।


আপনাদের কারো কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট এ করতে পারেন ।
ইনশাআল্লাহ সাথা সাধ্য উত্তর দেবার চেষ্টা করব ।

পূর্বে প্রকাশঃ- আসুন জানি ডট কমে 
পোস্ট লিখেছেনঃ- আশরাফুল আলোম রনি ।
এডমিনঃ- asunjani.Com
লেখকঃ- টেকটিউনস, নাইয়রি, বেস্টোয়েপ বিডি এবং আসুন জানি ডট কম ।
যোগাযোগঃ- ashrafulalomroni@gmail.Com


বুধবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৫

একটি আদর্শ ইসলামী পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার ও কর্তব্য - প্রথম পর্ব

Husband and wife relation in Islam
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ইসলাম পূর্ব যুগে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে কোন দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল না। সে সময়ে মহিলাদেরকে গৃহস্থালীর সাধারণ সামগ্রী মনে করা হত। মেয়েদের আত্মা আছে কি না - এ বিষয়ে ও বিতর্ক ছিল। মহিলাদের কোন পৃথক সত্তা ছিল না। ইসলামই স্বামী-স্ত্রীর যথাযথ অধিকার ও মর্যাদা দান করেছে। একটি আদর্শ ইসলামী পরিবারে স্বামীর অধিকার বা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর যথেষ্ট কর্তব্য রয়েছে। আবার স্ত্রীর অধিকার বা স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ও যথেষ্ট দায়িত্ব রয়েছে।


আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমরা দুইটি পর্বে পুরোপুরি ভাবে বিশ্লেষন করার চেষ্টা করবো যে একটি আদর্শ ইসলামী পরিবারে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য গুলো কি এবং স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য গুলো কি। আজকে আমরা আলোচনা করবো স্বামীর অধিকার বা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য গুলো কি কি। প্রিয় বন্ধুরা আমি এই তথ্যগুলো একটি বই থেকে সংগ্র কর লিখছি এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। বইটির মধ্যে আরবি সহ বাংলা রেফারেন্স দেওয়া আছে। যেহেতু আমার পক্ষে আরবি লিখা সম্ভব হচ্ছে না সেহেতু আমি বাংলা অর্থটি রেফারেন্স সহ শেয়ার করবো। আশা করি এতে আর আপনাদের কোন সমস্যা হবে না।

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্যঃ

একটি আদর্শ ইসলামী পরিবারে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর যেরূপ কর্তব্য রয়েছে, স্বামীর প্রতি স্ত্রীরও তদপেক্ষা অধিক কর্তব্য রয়েছে। একজন স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে, স্বামীর অদেশ নিষেধ মান্য করবে, স্বামীর সব কিছুতে বাধ্য থাকিবে ইত্যাদি একজন মুসলিম স্ত্রীর কর্তব্য তার স্বামীর প্রতি। নিচে সেগুলো আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করছি।



১| সম্মান প্রদর্শনঃ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন নারীদের অপেক্ষা পুরুষদের অধিক মর্যাদা ও সম্মান দান করেছেন। সে কারণে নারীরা পুরুষদেরকে সম্মান প্রদর্শন করবে এবং তাদেরকে মান্য করবে। এ মর্মে আল্লাহ্‌ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ
পুরুষগণ নারীদের ওপর কর্তৃতব করবে। কেননা, আল্লাহ্‌ তাদের একজনকে 
অপরের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। (আন-নিসাঃ ৩৪)
আর পুরুষগণের জন্য তাদের (নারীদের) ওপর মর্যাদা রয়েছে। (আল-বাকারাঃ ২২৮)


| তত্ত্বাবধানঃ পুরুষ গৃহের কর্তা আর নারী গৃহের কর্ত্রী। অতএব, স্ত্রী স্বামীর তত্ত্বাবধান করবে, সন্তানগণের দেখাশুনা করবে এবং স্বামীর পরিবারবর্গকে হিফাজত করবে। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ

স্ত্রী তার স্বামীর পরিজনবর্গের এবং সন্তানদের তত্ত্বাবধানকারিণী। (বুখারী, মুসলিম)


৩| আনুগত্য স্বীকারঃ  স্ত্রী সর্বদা স্বামীর আনুগত্য স্বীকার করবে এবং তার হক আদায় করবে। স্বামীর নির্দেশ মোতাবেক চলাফেরা করবে। সর্বদা স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখতে চেষ্টা করবে। স্বামীর হক আদায় না করলে আল্লাহ্‌র হক আদায় হবে না। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ

যার হাতে মুহাম্মদ (সঃ) এর জীবন, তাঁর কসম করে বলতেছি যে, স্ত্রীলোক তাঁর স্বামীর হক 
আদায় না করা পর্যন্ত তাঁর প্রভুর হক আদায় করতে পারে না। (হাযযায)


৪| সতীত্ব রক্ষাঃ স্ত্রী সর্বাবস্থায় তাঁর সতীত্ব রক্ষা করবে। একজন পুরুষ সর্ব্দা একজন চরিত্রবতী মহিলাকে বিবাহ করে। সুতরাং বিবাহের পর স্ত্রী সর্বদা তাঁর চরিত্র ও সতীত্ব হিফাজত করবে। স্বামীর অনুপস্থিতে স্ত্রী তার চরিত্রকে সর্বতোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করবে। তাহলে স্বামী তাঁর উপর খুশি থাকবে। এ মর্মে আল্লাহ্‌ তা'আলা ইরশাদ করেছেনঃ
সতীসাধ্বী রমনীগণ স্বামীদের অনুগত হয়। স্বামীদের অনুপস্থিতিতে আল্লাহ্‌ যা হিফাজত করতে 
আদেশ করেছেন্‌ তা সে হিফাজত করে। অর্থাৎ সে সংযত থাকবে। (আন-নিসাঃ ৩৪)
  • রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ
যদি স্বামী তাঁর স্ত্রীর নিকট হতে অনুপস্থিত থাকে, তাহলে সে আন্তরিকতার সাথে 
তাঁর আত্মাকে (সতীত্বকে) হিফাজত করবে। (ইবনে মাজা)


৫| অনুমতি গ্রহণঃ  স্বামী ব্যতীত ভিন্ন পুরুষের সাথে অর্থাৎ যাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা ও কথাবার্তা বলা হারাম, তাদের সাথে বিনা প্রয়োজনে বা স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কথাবার্তা বলবে না। স্বামীর অনুপস্থিতিতে বিশেষ প্রয়োজনে ভিন্ন পুরুষের সাথে কথা বলবার সময় অতি সংক্ষেপে কথা বলবে। স্ত্রী মৃদু মিষ্টি স্বরে বা হাসি ঠাট্টা তামাসার সুরে ভিন্ন পুরুষের সাথে কথা বলবে না। কারণ, এতে আগন্তুক পুরুষ তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাঁর সতীত্ব হরণ করতে পারে। সে কারনে স্বাভাবিক অত্যন্ত সংক্ষেপে কথা বলবে। যেমন নবীর স্ত্রীগণকে সতর্ক করে আল্লাহ্‌ তা'আলা ইরশাদ করেছেনঃ
যদি তোমরা আল্লাহ-ভীরু (রমণী) হও, তাহলে নরম সুরে (অন্য লোকের সাথে) কথা বলিও না। কেননা, যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে লোভ করতে পারে। অতএব, বিধিসম্মত সুন্দর কথা বলো। (আহযাবঃ ৩২)


৬| ধন-সম্পদ হিফাযতঃ যদি স্বামী স্ত্রীর নিকট হতে দূরে অন্য কোথাও থাকে তাহলে স্ত্রী স্বামীর ধন-সম্পদ ও অন্যান্য সব কিছু হিফাজত করবে। কারণ, স্বামীর ধন-সম্পদ স্ত্রীর নিকট আমানত স্বরূপ। তবে স্বামীর বিনা অনুমতিতে স্ত্রী স্বামীর ধন-সম্পদের কোন কিছু খরচ করতে পারবে না। আর যদি অত্যন্ত প্রয়োজনে কোন কিছু খরচ করে তাহলে যথাশীঘ্র স্বামীকে জানাতে হবে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ
যদি স্বামী তাঁর নিকট হতে অনুপস্থিত থাকে, তাহলে স্ত্রী স্বামীর সবকিছু হিফাজত করবে। (আবু দাউদ)
স্ত্রী তাঁর স্বামীর অনুমতি ব্যতীত তাঁর স্বামীর ঘরের কোন কিছু খরচ করতে পারবে না। (তিরমিযী)


৭| পর্দা গ্রহনঃ নারীরা গৃহের সৌন্দর্য। সে কারণে তারা গৃহে অবস্থান করে গৃহের শ্রীবৃদ্ধি করবে। তবে প্রয়োজনবোধে তারা ইসলামী পর্দা মোতাবেক সংযত হয়ে বাইরে যেতে পারে। এ মর্মে আল্লাহ্‌ তা-আলা ইরশাদ  করেছেনঃ
আর তোমরা নিজেদের গৃহে অবস্থান কর। তোমরা আগেকার বর্বতার যুগে (মহিলাদের) সাজ-গোজের 
ন্যায় সাজ-গোজ করো না। (আল-আহযাবঃ ৩৩)


৮| সুখ-দুঃখের ভাগীঃ স্ত্রী স্বামীর প্রতি রাগ করবে না। স্বামীর খুশিতে খুশি এবং স্বামীর দুঃখে দুঃখী হতে হবে। স্বামী তাকে যা কিছু প্রদান করে, তাতে তাঁর খুশি থাকতে হবে। স্বামীর পছন্দসই কাজের জন্য সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

৯| আহ্বানে সাড়া প্রদানঃ স্বামী স্বীয় প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডাকলে স্ত্রী স্বামীর ডাকে অবশ্যই সাড়া দেবে। এমন কি যদি স্ত্রী কোন জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকে তবুও স্বামীর আহ্বানে সাড়া দেয়া অত্যাবশ্যক। রাসূল (সঃ) বলেছেনঃ
যখন স্বামী স্বীয় স্ত্রীকে নিজ প্রয়োজনে আহ্বান জানায় তখন তার আসা অত্যাবশ্যক। যদিও সে চুলায় 
রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকে। (তিরমিযী)


১০| স্বামীর গৃহ ত্যাগ না করাঃ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক। যদি কোন সময় কোন কারণে অকারণে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সংঘটিত হয় তাহলে স্ত্রী ধৈর্যের সাথে ঝগড়া বিবাদ এড়িয়ে চলবে এবং সুযোগ সাপেক্ষ স্বামীকে বুঝবে। এমতাবস্থায় রাগবশত স্বামীর গৃহ ত্যাগ করবে না। এমন কি যদি স্বামী স্ত্রীকে মার ধরও অত্যাচার করে তবুও স্ত্রী স্বামীর গৃহ থেকে চলে যাবে না।  বরং বিচার ও মীমাংসা করে একসাথে বসবাস করাই শ্রেয়। রাসুল (সঃ) বলেছেনঃ
যখন স্ত্রী রাগবশত স্বামীর গৃহ থেকে বের হয়ে অন্য কোথাও রাত যাপন করে, তখন ফেরেশতাগণ তাঁর (স্ত্রীর) ওপর লানত করতে থাকে। যতক্ষন না সে স্বামীর গৃহে প্রত্যাবর্তন করে। (আবু দাউদ)


১১| অসন্তুষ্ট না রাখাঃ স্ত্রী স্বামীকে অসন্তুষ্ট রাখবে না এবং স্বামীর কথা অস্বীকার করবে না। স্বামীকে অসন্তুষ্ট রাখলে আল্লাহ্‌র ফেরেশতারা অভিশাপ দিতে থাকে। আর স্বামী সন্তুষ্ট থাকলে তাঁর জন্য জান্নাতের পথ সুগম হয়। এ মর্মে রাসুল (সঃ) বলেছেনঃ
যখন কোন ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে, আর সে তা অস্বীকার করে এবং স্বামী অসন্তুষ্ট অবস্থায় রাত যাপন করে, তখন ফেরেশতারাগণ তাকে (স্ত্রীকে) অভিশাপ দিতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না সকাল হয়। (বুখারী, মুসলিম)


১২| মোহরানার ব্যাপারে ইহসান করাঃ বিবাহের মহরানা স্বামী তার স্ত্রীকে প্রদান করবে। স্বামী যদি গরিব হয় এবং মোহরানা পরিশোধ করতে অক্ষম হয়, তাহলে স্ত্রী স্বামীকে খুশী রাখবার জন্য ক্ষমা করে দিতে পারে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্‌ তা-আলা বলেনঃ

এবং তোমরা নারীদেরকে তাদের মহরানা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে প্রদান করবে। যদি তারা সন্তুষ্ট হয়ে মহরানার কিছু অংশ ছেড়ে দেয় তাহলে তোমরা তা স্বচ্ছন্দে ভোগ করবে। (আন-নিসাঃ ৪)


১৩| স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর প্রতি কর্তব্যঃ সর্বোপরি স্বামীর মৃত্যুর পরও স্ত্রীর তাঁর স্বামীর প্রতি কর্তব্য রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী স্বামীর ধন-সম্পদ রক্ষা করবে। স্বামীর সুনাম রক্ষা করবে এবং তাঁর সন্তানদেরকে লালন-পালন করবে। স্বামীর আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করবে। স্বামীর অসম্পূর্ণ কাজ সমাধান করবে। যদি স্বামীর কোন ঋণ থাকে , তা পরিশোধ করে দিবে এবং সর্বদা স্বামীর মাগফিরাতের জন্য আল্লাহ্‌র নিকট দু'আ করবে।

উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে, স্বামীর শান্তি, সন্তুষ্টি ও আরাম প্রদানের ব্যাপারে স্ত্রীর যথেষ্ট কর্তব্য রয়েছে। স্ত্রী সর্বদা স্বামীর মন রক্ষা করতে চেষ্টা করবে। স্ত্রীর নিকট স্বামীর অধিকার এত অধিক যে, বিবাহের পর হতে সে সর্বদা স্বামীর খিদমত করবে এবং স্বামীকে খুশী ও শান্তিতে রাখবে। বস্তুত, আল্লাহ্‌র ইবাদতের পরপরই স্ত্রীর নিকট স্বামীর অধিকার সর্বাপেক্ষা অধিক।

লেখকঃ আব্দুল মান্নান খান (অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, ঢাঃবিঃ) ও মুহাম্মদ কুরবান আলী (সহকারী অধ্যাপক, ইসলাম শিক্ষা, জাঃবিঃ)
সম্পাদনা ও পুনঃসংযোজনঃ নেতা