আচ্ছালামুআলাইকুম ওয়াঃ
সুপ্রিয় নাইয়রি। আপনারা সকলেই কেমন আছেন ?
আপনারা সর্বদা ভালো থাকেন এটাই আমরা চাই এবং মনে প্রানে দোয়া ও করি ।
কারন আপনাদের জন্যই আমাদের পথ চলা ।
ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমানগণ নিঃশর্তভাবে কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করে চলতেন।
কিন্তু এর কয়েক শতাব্দীর পর থেকেই শুরু হয় ফিরকা বাজি ।
এদের মদ্ধ্যে অন্যতম বর্তমানে সমাজে যারা ব্রেল্ভি, সুন্নি নামে পরিচিত ।
গতবারে আমরা " সুন্নাত কাকে বলে ? বিদআত কাকে বলে ? এবং বিদআতের হুকুম কি ? "
এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম ।
এবং এই বিষয়টিকে একটি পর্ব আকারে দেয়া হয়েছে ।
আজ সেই পর্বের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের কাছে পেশ করতে যাচ্ছি ।
মুসলিম শরিফের ভাষ্যকার ইমাম নববী রহঃ লিখেছেনঃ-
قال العلماء: البدعة خمسة. واجبة ومندوبة ومحرمة ومكروهة ومباحة فمن الواجبة: نظم أدلة المتكلمين للرد علي الملاحدة والمبتدعين وشبه ذلك. ومن المندوبة: تصنيف كتب العلم وبنااء المدارس والربط و غير ذلك. ومن لمباح: التبسط في ألوان الأطعمة وغير ذلك والحرام والمكروه ظاهران
বিদআত পাঁচ প্রকারঃ-
(১) ওয়াজিব । যথাঃ- নাস্তিক ধর্মদ্রোহী ও বিদআতি বাতিল পন্থিদের বিরুদ্ধে ইসলামি দলিল প্রমান ও তাদের আপত্তির খন্ডন সম্বলিত বই পুস্তকের মাধ্যমে প্রচার করা ।
(২) মুস্তাহাব । যথাঃ- ধর্মীয় বই পুস্তক লেখা, মাদ্রাসা ও খনকা প্রতিষ্ঠা এবং মুসাফির খানা নির্মাণ করা । ইত্যাদি ।
(৩) মুবাহ । যথাঃ- খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদির মধ্যে উত্তম থেকে অতি উত্তম খানার আয়োজন করা ।
(৪) হারাম । (৫) মাকরুহ । এ দুটি অত্যন্ত ।
দেখুনঃ- মুসলিম শরিফ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ২৮৫
এমনি ভাবে আল-জান্নাহ কিতাবে আছেঃ-
ان البدعة علي قسمين بدعة لغوية وبدعة شرعية فالاول هوالمحدث مطلقا عادة كانت او عيبادة الاخ
বিদআত দু-প্রকার ।
একঃ- আভিধানিক বিদআত । দুইঃ- শরয়ি বিদআত ।
আভিধানিক বিদআত বলা হয়ঃ- যাহা প্রত্যেক নব আবিস্কার বিদআত এর জন্য প্রযোজ্য চাই তাহা ইবাদতে হক বা অভ্যাসে হোক । এটিই পাঁচ ভাগে বিভক্ত ।
তথাঃ- ওয়াজিব, মুস্তাহাব, মুবাহ, হারাম, মাকরুহ ।
শরয়ি বিদআত বলা হয়ঃ- শরীয়তের উপর ইবাদত-বন্দেগি কিছু বাড়ানো ।
(তিন যূগ অতিক্রান্ত হবার পর) শরীয়তের অধিকারি তথা রাসূল সাঃ এর কোন রুপ অনুমতি ছাড়া, অর্থাৎ না মৌখিক না কর্মের মাধ্যমে, না স্পষ্ট ভাবে, না ইশারা ইঙ্গিতে অনুমতি দেয়া হয়েছে, এটিই সেই বিদআত যাকে গোমরাহি এবং ভ্রষ্টতা আখ্যা দেয়া হয়েছে ।
দেখুনঃ- আল-জান্নাহ, পৃষ্ঠা ১৬১ । রাহে সুন্নাত পৃষ্ঠা ৯৯ ।
আজ এই পর্যন্তই । পরবর্তী পর্ব নিয়ে আবার হাজির হয়ে যাব আপনাদের কাছে ।
সেই পর্যন্ত আমি এবং আপনারা ভালো থাকবনে এই দোয়াই কামনা করি ।
লিখেছেনঃ- আশরাফুল আলম রনি
এডমিনঃ- asunjani.Com
লেখকঃ- টেক্টিউন্স, নাইয়রি এবং আসুন জানি ডট কম
যোগাযোগঃ- ashrafulalomroni@gmail.Com
সুপ্রিয় নাইয়রি। আপনারা সকলেই কেমন আছেন ?
আপনারা সর্বদা ভালো থাকেন এটাই আমরা চাই এবং মনে প্রানে দোয়া ও করি ।
কারন আপনাদের জন্যই আমাদের পথ চলা ।
ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমানগণ নিঃশর্তভাবে কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করে চলতেন।
কিন্তু এর কয়েক শতাব্দীর পর থেকেই শুরু হয় ফিরকা বাজি ।
এদের মদ্ধ্যে অন্যতম বর্তমানে সমাজে যারা ব্রেল্ভি, সুন্নি নামে পরিচিত ।
গতবারে আমরা " সুন্নাত কাকে বলে ? বিদআত কাকে বলে ? এবং বিদআতের হুকুম কি ? "
এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম ।
এবং এই বিষয়টিকে একটি পর্ব আকারে দেয়া হয়েছে ।
আজ সেই পর্বের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের কাছে পেশ করতে যাচ্ছি ।
বিদআতের প্রকার ভেদ ।
এই আর্টিকেলটি কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ।মুসলিম শরিফের ভাষ্যকার ইমাম নববী রহঃ লিখেছেনঃ-
قال العلماء: البدعة خمسة. واجبة ومندوبة ومحرمة ومكروهة ومباحة فمن الواجبة: نظم أدلة المتكلمين للرد علي الملاحدة والمبتدعين وشبه ذلك. ومن المندوبة: تصنيف كتب العلم وبنااء المدارس والربط و غير ذلك. ومن لمباح: التبسط في ألوان الأطعمة وغير ذلك والحرام والمكروه ظاهران
বিদআত পাঁচ প্রকারঃ-
(১) ওয়াজিব । যথাঃ- নাস্তিক ধর্মদ্রোহী ও বিদআতি বাতিল পন্থিদের বিরুদ্ধে ইসলামি দলিল প্রমান ও তাদের আপত্তির খন্ডন সম্বলিত বই পুস্তকের মাধ্যমে প্রচার করা ।
(২) মুস্তাহাব । যথাঃ- ধর্মীয় বই পুস্তক লেখা, মাদ্রাসা ও খনকা প্রতিষ্ঠা এবং মুসাফির খানা নির্মাণ করা । ইত্যাদি ।
(৩) মুবাহ । যথাঃ- খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদির মধ্যে উত্তম থেকে অতি উত্তম খানার আয়োজন করা ।
(৪) হারাম । (৫) মাকরুহ । এ দুটি অত্যন্ত ।
দেখুনঃ- মুসলিম শরিফ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ২৮৫
এমনি ভাবে আল-জান্নাহ কিতাবে আছেঃ-
ان البدعة علي قسمين بدعة لغوية وبدعة شرعية فالاول هوالمحدث مطلقا عادة كانت او عيبادة الاخ
বিদআত দু-প্রকার ।
একঃ- আভিধানিক বিদআত । দুইঃ- শরয়ি বিদআত ।
আভিধানিক বিদআত বলা হয়ঃ- যাহা প্রত্যেক নব আবিস্কার বিদআত এর জন্য প্রযোজ্য চাই তাহা ইবাদতে হক বা অভ্যাসে হোক । এটিই পাঁচ ভাগে বিভক্ত ।
তথাঃ- ওয়াজিব, মুস্তাহাব, মুবাহ, হারাম, মাকরুহ ।
শরয়ি বিদআত বলা হয়ঃ- শরীয়তের উপর ইবাদত-বন্দেগি কিছু বাড়ানো ।
(তিন যূগ অতিক্রান্ত হবার পর) শরীয়তের অধিকারি তথা রাসূল সাঃ এর কোন রুপ অনুমতি ছাড়া, অর্থাৎ না মৌখিক না কর্মের মাধ্যমে, না স্পষ্ট ভাবে, না ইশারা ইঙ্গিতে অনুমতি দেয়া হয়েছে, এটিই সেই বিদআত যাকে গোমরাহি এবং ভ্রষ্টতা আখ্যা দেয়া হয়েছে ।
দেখুনঃ- আল-জান্নাহ, পৃষ্ঠা ১৬১ । রাহে সুন্নাত পৃষ্ঠা ৯৯ ।
আজ এই পর্যন্তই । পরবর্তী পর্ব নিয়ে আবার হাজির হয়ে যাব আপনাদের কাছে ।
সেই পর্যন্ত আমি এবং আপনারা ভালো থাকবনে এই দোয়াই কামনা করি ।
লিখেছেনঃ- আশরাফুল আলম রনি
এডমিনঃ- asunjani.Com
লেখকঃ- টেক্টিউন্স, নাইয়রি এবং আসুন জানি ডট কম
যোগাযোগঃ- ashrafulalomroni@gmail.Com
0 comments: